পোস্টগুলি

Our post

ক্ষোধার্ত সাহাবী

ছবি
Sajjadur Rahman   হযরত আবু বকর ও উমর (রাঃ) এর ক্ষুধার কাহিনী প্রচন্ড রোদের মধ্যে হযরত আবু বকর (রাঃ) তাঁর ঘর থেকে বের হয়ে আসলেন। মসজিদ-ই-নববীর দিকে হাঁটতে শুরু করলেন আবু বকর (রাঃ)। পথেই দেখা হয়ে গেল উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর সাথে। আবু বকরকে জিজ্ঞেস করলেনঃ – “এই গরমের মধ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসলেন যে!” – “কি করবো? দুঃসহ ক্ষুধা তাড়িয়ে নিয়ে এসেছে আমাকে বাড়ি থেকে।” – “হে আবু বকর, আমি নিজেও যে একই কারণে ঘর থেকে বের হয়ে এসেছি।” দুজনে কথা বলতে বলতে এগিয়ে গেলেন। হঠাৎ দেখলেন রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগিয়ে আসছেন তাঁদের দিকে। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই কথা তুললেন, – “কি ব্যাপার? এই অসময়ে কোথায় যাচ্ছ তোমরা?” – “ইয়া রাসুলুল্লাহ! ক্ষুধার কষ্টই আমাদের বাড়ি থেকে বের করে এনেছে।’ – “সেই পবিত্র স্বত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ, আমিও যে একই কারণে বের হয়ে এসেছি ঘর থেকে। চলো সামনে এগিয়ে যাই। তিনজন মিলে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছলেন আবু আইয়ুব আল-আনসারী (রাঃ) এর বাড়িতে। আবু আইয়ুব (রাঃ) এর স্বভাব ছিল প্রতিদিন রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ...

শোভাযাত্রায় অংশ না নেওয়ায় ইবির ছাত্রী হলে দুপুরের খাবার বন্ধ। বিস্তারিত কমেন্টে।

ছবি
Sajjadur Rahman ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ না নেওয়ায় ছাত্রীদের একটি হলের দুপুরের বিশেষ খাবার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন প্রভোস্ট। বিশেষ খাবার দেওয়া হবে এজন্য ডাইনিংয়ের নিয়মিত খাবারও রান্না হয়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হলটির ছাত্রীরা। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলে এ ঘটনা ঘটে।  হল সূত্রে জানা যায়, বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলে দুপুরে পান্তাভাত, ভর্তা ও রুই মাছ ভাজির আয়োজন করা হয়। এছাড়াও নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে সকালে হল থেকে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রায় আশানুরূপ শিক্ষার্থী উপস্থিত না হওয়ায় হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন হতাশ হয়ে তাৎক্ষণিক দুপুরে পান্তাভাতের আয়োজনটি বন্ধ ঘোষণা করেন এবং রাত ৯টায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিটিংয়ের আহ্বান জানান।  এদিকে হলের ডাইনিংয়ে দুপুরের স্বাভাবিক খাবারের আয়োজনও করা হয়নি। এর ফলে হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা দুপুরের খাবার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন।  এ ঘটনার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাঝে। শিক্...

শয়তান যে ৩ কাজে মানুষকে সবচেয়ে বেশি ধোঁকা দেয় ।

ছবি
Sajjadur Rahman Sajjadur Rahman ‘শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন’- এটি মহান আল্লাহ তাআলার ঘোষণা। আল্লাহর কাছ থেকেই শয়তান মানুষের ক্ষতি করবে বলে তার শিরা-উপশিরায় প্রবেশের ক্ষমতা নিয়ে এসেছে। শয়তান যে সব অবস্থায় মানুষের বেশি ক্ষতি করে সে সম্পর্কে  প্রখ্যাত ফকিহ হজরত আবু লাইছ সমরকান্দি রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘তাম্বিহুল গাফেলিন’ -এ একটি ঘটনাসহ তা তুলে ধরেছেন। আর তাহলো- শয়তান একদিন হজরত মুসা আলাইহিস সালামের কাছে এসে বললো, ‘আপনি আল্লাহর মনোনীত রাসুল। আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার মর্যাদাও আপনি লাভ করেছেন। আমি তাওবা করার ইচ্ছা করছি। আমার তাওবা কবুলের জন্য আপনি আল্লাহর কাছে সুপারিশ করুন।’ শয়তানের তাওবা করার কথা শুনে হজরত মুসা আলাইসি সালাম খুশি হয়ে গেলেন। কারণ শয়তান তাওবা করলেই গোনাহ সংঘটিত হবে না। তাই তিনি ওজু করে নামাজে মনোযোগ দিলেন। তখন আল্লাহ তাআলা হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে জানান, ‘হে মুসা! শয়তান তোমার সঙ্গে মিথ্যা বলেছে। সে তোমার সঙ্গে প্রতারণা করতে চেয়েছে।’ যদি তাকে পরীক্ষা করতে চান, তবে তাকে এ কথা বলে দেখুন যে, সে যেন হজরত আদম আলাইহিস সালামের কবরে সেজদা করে। যদি সে...

নামাজরত অবস্থায় নবিজিকে কষ্ট দেয়া ও ছালাত আদায়ে বাধা সৃষ্টি।

ছবি
Sajjadur Rahman   কা‘বাগৃহে ছালাতরত অবস্থায় নবি সাঃকে কষ্টদান (ايذاء النبى صــ فى الصلاة عند الكعبة) (ক) আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন যে, একদিন রাসূল (ছাঃ) বায়তুল্লাহ্র পাশে ছালাত আদায় করছিলেন। এমন সময় আবু জাহল ও তার সাথীরা অদূরে বসে বলাবলি করতে লাগল, কে উটের নাড়ি-ভুঁড়ি এনে এই ব্যক্তির উপর চাপাতে পারে, যখন সে সিজদায় যাবে? তখন ওক্ববা বিন আবী মু‘আইত্ব উটের ভুঁড়ি এনে সিজদারত রাসূলের দুই কাঁধের মাঝখানে চাপিয়ে দিল, যাতে ঐ বিরাট ভুঁড়ির চাপে ও দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। এতে শত্রুরা হেসে লুটোপুটি খেয়ে একে অপরের উপর গড়িয়ে পড়তে থাকে। ইবনু মাসঊদ বলেন, আমি সব দেখছিলাম। কিন্তু এই অবস্থায় আমার কিছুই করার ছিল না। এই সময় ফাতেমার কাছে খবর পৌঁছলে তিনি দৌঁড়ে এসে ভুঁড়িটি সরিয়ে দিয়ে পিতাকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন। ইবনু হাজার বল...

চিন্তার ইবাদত

ছবি
Sajjadur Rahman   Sajjadur Rahman চিন্তার ইবাদত ভূমিকা : মানুষের দৈহিক ইবাদত তিন ভাগে বিভক্ত। অন্তরের ইবাদত, মৌখিক ইবাদত এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ইবাদত। অনেকে ইবাদত বলতে শুধু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও মৌখিক ইবাদতকেই বুঝে থাকেন। কিন্তু অন্তরের ইবাদত সম্পর্কে তারা উদাসীন থাকেন। অথচ অন্তরের ইবাদতের উপর ভিত্তি করেই অন্যান্য সকল ইবাদত-বন্দেগী সম্পাদিত হয়। সেকারণ অন্তরের ইবাদতে বেশী জোর দেওয়া উচিত। কেননা হৃদয় যখন ইবাদতে রত হয়ে যায়, তখন হাত, পা, জিহবা, কান, চোখ সহ শরীরের প্রত্যেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আল্লাহর আনুগত্যে নিয়োজিত হয়ে যায়। আর অন্তরের যত শক্তিশালী ইবাদত আছে, তন্মধ্যে অন্যতম হ’ল চিন্তার ইবাদত। চিন্তা বলতে কী বুঝায়? চিন্তা হ’ল মানব মস্তিষ্কের অপরিহার্য ক্রিয়া। চিন্তাশক্তি থাকার কারণেই অন্যান্য প্রাণীর উপর মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত। চিন্তা-ভাবনাকে আরবীতে ‘তাফাক্কুর’ (التَّفَكُّرُ) বলা হয়। এর আরবী প্রতিশব্দগুলো হ’ল-التَّأَمُّلُ، التَّدَبُّرُ، العِبْرَةُ، النَّظْرَةُ،। আর এর বাংলা প্রতিশব্দ হ’ল- গভীর চিন্তা, ধ্যান, ভাবনা, উপদেশ, শিক্ষা লাভ প্রভৃতি। কুরআন ও হাদীছে এই শব্দটি ...

মহানবি সাঃ এর মুখের লালা।

ছবি
Sajjadur Rahman মহানবি সাঃ এর মুখের লালা।   মহানবী (সাঃ) কে আল্লাহ তায়ালা মানব জাতি সহ সারা বিশ্বের সকল কিছুর জন্য  রহমত হিসাবে প্রেরণ করেছিলেন।  শুধু উনার শিক্ষা এবং আদর্শ ই কেবল মানুষের জন্য শান্তি ও বরকতের উ ৎ স ছিল ো না বস্তুত পক্ষে উনার সকল কিছূই ছিলো মানুষের জন্য উপকারী । আল্লাহপাক উনার মধ্যে অপকারী কোন কিছুই রাখেন নি ।    এমনি এক আশ্চর্য মুজিজা হলো  মহানবী (সাঃ) এর পবিত্র মূখের লালা । সাধারণতঃ দেখা যায় একজন মানুষের মুখের লালা আরেকজন মানুষের জন্য কোন উপকার বয়ে আনেনা । আর যদি মানুষটি অসুস্থ বা অপরিস্কার হয় তাহলে তো তা অবশ্যই ক্ষতিকর । মহানবী (সাঃ) এর লালা ছিলো ব্যতিক্রম বরং উনার মুখের লালা ছিল অসুস্থ ব্যক্তির জন্য শিফা বা রোগ মুক্তির উছিলা। *** রোগ মুক্তিতে নবিজির মুখের লালা- ১। হযরত সাহাল ইব‌নে সাদ(রাঃ) হই‌তে বর্নীত আছে যে , খায়বর যু‌দ্ধের সময় নবী করীম (ছঃ) ব‌লেন , আগামীকাল এই পতাকা আমি এমন একজ‌নের হা‌তে দিব যাহার হা‌তে খয়বর‌কে আল্লাহ বিজয় দান ক‌রবেন । যেই লোক আল্লাহ ও তাঁহার রাসূল‌কে ভালবা‌সে , আল্লাহ ও তাঁহার ...