আমার কিডনিতে পাথর কেন হয়েছে?




Sajjadur Rahman

আমার কিডনিতে পাথর
প্রতিটি মানুষের শরীরের রক্ত পরিশোধনকারী অঙ্গ হচ্ছে কিডনি।
আর সেই কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে দেহের বর্জ্য নিষ্কাশন সুচারুরূপে হয়না।
তাই শরীরের সুস্থতার জন্য কিডনি ভালো থাকা প্রয়োজন। 

কিডনির মূল সমস্যা। 
কিডনির মূল সমস্যা হচ্ছে পাথর জমা। কিডনিতে পাথর আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। অবশেষে আমি নিজেও এই রুগে আক্রান্ত হয়ে গেলাম।

কেন  আমার কিডনিতে পাথর হলো?
কিডনিতে পাথর হলে এক সময় মানুষ বুঝতনা জানতে পারতনা অসহ্য ব্যাথার যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত। আমারও ঠিক একি অবস্থা  হয়েছে।রাতের পর রাত দিনের পর দির  কাতরাতে হয়েছে। কিন্তু কেন কিডনিতে আমার পাথর হলো।

আমার কয়েকটি বদ অভ্যাসের কথা তুলে ধরা হলো
১। আমি খাবারের সময়  প্রচুর পরিমাণে কাঁচা লবণ খেতাম। যেটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ লবণে সোডিয়াম খুব সহজে জমা হতে থাকে কিডনিতে। এছাড়া অতিরিক্ত সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের কারণেও কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়ে।

২। আমার জীবনে আমি খুব কম পরিমাণে পানি পান করেছি। পানি পান না করাটা আমাকে আজকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসছে। চাহিদামত পানি পান না করার কারণে কিডনি সঠিক ভাবে শরীরের বর্জ্য দূর করতে পারে নাই। তাই কিডনিতে পাথর হয়ে গেছে।

৩। আমি ছোট কাল থেকে পান, জর্দ্দা , গুল ইত্যাাদি বাজে অভ্যাস করে আসছি তাই এগুলো আজ আমার জন্য ভয়ংকর রুপ নিয়েছে।গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সুপারি, চুন, জর্দা দিয়ে পান খেলে মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় দশ গুণ (৯.৯) গুণ এবং জর্দা ছাড়া শুধু চুন, সুপারি, খয়ের দিয়ে পান খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় আট গুণ (৮.৪ গুণ) বেড়ে যায়। এ ছাড়া 'সালমোনেলা' নামে ব্যাক্টেরিয়া বা জীবাণু পানপাতা বাসা বাঁধে। এই জীবাণু পেটের নানা রোগের জন্য দায়ি। সাথে কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৪। আমার আরো একটি বাজে অভ্যাস হচ্ছে আমার প্রসাব চাপলে সেটা দীর্ঘ সময় চেপে
     রেখে তারপর শৌচাগারে যাওয়া। যেটা একেবারেই অনুচিত। বেগ এলেই
      প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়াটাই উত্তম।

৫। আমার খাদ্যাভাসে ভিটামিন সি খুব বেশি ছিলনা তাই আমি এই রোগে আক্রান্ত আজ।
৬।আমি অতিরিক্ত মাত্রায় দুগ্ধজাত খাদ্য খেতাম যেটা কিডনিতে সমস্যা তৈরী করেছে।
৭। আমার আরো একটি সমস্যা হচ্ছে আমার কোন রোগ দেখা দিতেই ডাক্তারের 
     পরামর্শ ছাড়াই এন্টিবায়োটিক খাইতাম।বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধ।

এখন আমাকে যা যা করতে হবে 
১। পরিমাণ মত পানি পান করতে হবে।
২। কাঁচা লবণ খাওয়া ছাড়তে হবে।
৩। পান জর্দ্দা চুন সুপারী  ইত্যাদি খাওয়া ছাড়তে হবে ।
৪। বেশি বেশি ভিটমিন সি খেতে হবে।
৫। ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ খেতে 

বিঃদ্রঃ সুপ্রিয় পাঠক আমার এই লেখাটি যদিও আমকে কেন্দ্র করে লিখেছি তবুও সকল কে বলব কিডনি শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তাই কিডনি সমস্যা হতে পারে এমন সকল কাজ ও অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সুস্থ রাখুন। 
  ভিজিট করার জন্য সকল কে ধন্যবাদ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মহানবি সাঃ এর মুখের লালা।

শয়তান যে ৩ কাজে মানুষকে সবচেয়ে বেশি ধোঁকা দেয় ।

মুসলিম সমাজে মসজিদের ভূমিকা