তা-লি-বা-নের বিজয়ে আমাদের প্রাপ্তি!


তা-লি-বা-নের বিজয়ে আমাদের প্রাপ্তি!

-Makusudur Rahman (Modina University)

---------------------------------------------------
ছাত্র ভাইদের বিজয়ে আমরা খুশিতে
অত্মহারা! সরাসরি প্রাপ্তিটা আমাদের না হোক আমার ভায়ের বলেই তো খুশিটা একটু বেশি। নিজের খুশির চেয়ে ভালোবাসার মানুষের খুশিতে আমরা অধিক উপভোগ করি।
শুরু টার কথা মনে আছে?
ছোট ছিলাম; যুদ্ধ বিমান আর কামানের স্টিকার কিনে যত্রতত্র লাগাতাম। মনে আছে অহংকারী আমেরিকার একচেটিয়া হম্বিতম্বি আর অপরাজেয় ভাবে রেডিও স্টেশন গুলো যেন ভারি হয়ে থাকতো!
কেন শুরুটা মনে রাখা দরকার! আমরা বাঙালি আগপিছ চিন্তা করি কম। অতীত স্মরণ রাখি না। রাখতে পারি না। এই প্রভাতের আগে দীর্ঘ সন্ধ্যার কথা, রাতের আধারে মজলুমের আর্তচিৎকারের কথা ভুলে গেলে চলবে না।
আমাদের অভ্যেস হলো আমরা জ্ঞানীগুণীর নাম নেই বিজ্ঞানে আইনস্টাইন মহাজ্ঞানী অ্যারিস্টোটল কিংবা হাদীস শাস্ত্রের বুখারী ফিকহের আবু হানিফার কথা বলে জ্ঞান ঝাড়ি! কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের পিছনে তাদের মাড়ানো সেই পথ সেই পদচিহ্ন অনুসরণ করার কথা মটেও ভ্রুক্ষেপ করিনা।
2001 থেকে 2021 একটি শুকিয়ে যাওয়া রক্ত সমুদ্রের ইতিহাস। যারা শুরুটা করেছিল তাদের 95 ভাগ এখন আর বেঁচে নেই। নেই মোল্লা ওমর শেখ উসামা সহ অসংখ্য জানবাজ। ধুলোয় মিশে আছে কত মহাপুরুষ!
বিশ বছরে কি হয়নি? আফগানের নীরব ঘন অরণ্যে জনপদে নারী ধর্ষণের আর্তচিৎকার কিংবা গুয়ানতানামো কারাগারের সেই শিকলবন্দি উলঙ্গ মুজাহিদীন। মনে পড়ে কি সে সব ঘটনা?
আমরা এখন মিষ্টি বিতরণ করছি আনন্দিত পুলকিত হয়েছি। আর ফেসবুকে এগুলো ছেড়ে নিজেদের হকপন্থী সার্টিফিকেট জাহির করছি। কিন্তু যদি বলি তালিবানের মত আপনি কি প্রস্তুত? তখন নিঃসন্দেহে কার্যত আপনার উত্তরটি হবে সশস্ত্র যুদ্ধ এযুগের সম্ভব না, আম্রিকা দেখতেয়াছে এখন ভোট, দাওয়াত- জিহাদ।
কওমি আলেমদের তালেবানের জায়গায় দেখা হয়
আসলে কি তাই?
আমরা তো এখন পীর মুরিদের ইশকে জান্নাতুল ফিরদাউসের ঘ্রাণ পাই। খানকায় ভোজন মেলায় রানে কামড় বসিয়ে জান্নাতি নেয়ামতের কথা স্মরণ করে রুচি বাড়িয়ে নেই! ভুঁড়ি ভোজ করে আহ্লাদের নিদ্রায় জান্নাতী হুড় দেখে গোসল করি।
শত শত পীরের গুরুপীর যখন বেফাকের অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যায়। আবার কেহ সামান্য মাদ্রাসার লোভ পুরোনো ক্ষোভ পুষে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা ও ধ্বংস করে।
কেহ জালিম সরকারের সান্নিধ্য পাওয়ার লক্ষ্যে সশস্ত্র জিহাদ সম্ভব না বলে ফতোয়া ডেলিভারি করে। এমন জাতির পক্ষে কি আফগানির 20 বছরের যুদ্ধ সম্ভব উত্তরটি সহজ না।
হেফাজতের শাপলা ট্রাজেডির অর্থ আত্মসাৎ করেছে কারা? কোটি টাকার ঘ্রাণ নাকে পেয়ে শহীদের রক্তের হোলি খেলেছে কোন আমেরিকানা কিংবা ব্রিটেন! পাঁচ কলি টুপি দাড়ি আকাবির আর হকের ঠিকাদার কি করে পারলো তা করতে?
এটা বুঝলে বুঝবেন একবিংশ শতকের কথিত বাঙালি হক্কানী আলেম সমাজ আর একই শতকের আফগানি তালেবানের পার্থক্যটা।
আমি মোটেও আশাবাদী নই কারণ আমি এদেশের কথিত তাওহিদী পীর মাশায়েখ আর খানকার তসবি টুপির ভেতরটা জানি। নেক প
সূরতের ভেতরে লুকিয়ে থাকা মানুষটার কুত্সিত চেহারা আমি দেখেছি।
জালিমের নৈকট্য পেতে কাউকে নিজামুদ্দিন আউলিয়া বানায় কখনো বা জিহাদকে অস্বীকার করে নিজের নবী দাবি করে। কেউ আত্মঘাতী হামলাকে হারাম করতে দৌড়ঝাঁপ দিয়ে ক্লান্ত! আবার এই যুগের জিহাদ মানেই আত্মঘাতী বলে প্রকারান্তরে জিহাদকে হারাম ফতোয়া দিয়েছে! এরাই দেশের নেতা- শেয়ালের রাজ্যে সততার আশা করা নিতান্তই বোকামি।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মহানবি সাঃ এর মুখের লালা।

শয়তান যে ৩ কাজে মানুষকে সবচেয়ে বেশি ধোঁকা দেয় ।

মুসলিম সমাজে মসজিদের ভূমিকা